অন্ধকারাচ্ছন্ন ও পথভ্রষ্ট মানবজাতিকে সঠিক পথের সন্ধান দেওয়ার জন্য আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে দুনিয়াতে যে মহাপুরুষগণকে প্রেরণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে হযরত মুহম্মদ (স.) শ্রেষ্ঠতম। তৎকালীন সময়ে আরবের সর্বত্র অরাজকতা বিদ্যমান ছিল। বর্বর আরবজাতির মাঝে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে হযরত মুহম্মদ (স.) শত্রু কর্তৃক বিভিন্ন যুদ্ধে আহত ও রক্তাক্ত হন। প্রাণঘাতী শত্রুকে কাছে পেয়েও তিনি প্রতিশোধ নেননি।
পরিবারের উন্নতির মূলে রয়েছে সাগরিকার অনস্বীকার্য ভূমিকা। তিনি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রান্না-বান্না করা, কাপড়-চোপড় ধোয়া, সন্তানদের স্কুলে পাঠানো, অসুস্থ শাশুড়ির সেবাযত্ন করাসহ যাবতীয় কাজকর্ম অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে করেন। আজকাল প্রায়ই তিনি অসুস্থবোধ করেন। এজন্য পরিবারে তাঁর গুরুত্ব ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে কুসুমবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে তিনদিনব্যাপী মেলা বসেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহাদুর রহমান দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়ে মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় ঘুরে ঘুরে শিক্ষক কাঠ, বাঁশ ও মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র দেখান এবং বাংলার লোকজ সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। তা দেখে তারই বাল্যবন্ধু সবুজ বলেন, "এসব হিন্দুদের সংস্কৃতি, মুসলমানদের নয়।"
উদ্দীপক-১:
"যে নদে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিদিন কেটেছি সাঁতার
আমার শরীরে আজও তাহার ঢেউয়ের ছোঁয়া টের পাই,
যেন মায়ের আদর মাখা দু'হাতের দোলা।
সুবিশাল আমাজান কিংবা নীল নদের বাহুডোরে
এমন সুস্বাদু স্নেহ পাই নি তো আমি।"
উদ্দীপক-২:
মধুর চেয়েও আছে মধুর
সে এই আমার দেশের মাটি,
আমার দেশের পথের ধূলা
খাঁটি সোনার চাইতে খাঁটি।
আমিনুল ইসলাম একজন সচ্ছল মানুষ। তিনি রড-সিমেন্টের ব্যবসা করেন। পাড়া-প্রতিবেশীদের সাথে রয়েছে সুসম্পর্ক। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যেমন আদায় করেন তেমনি মানুষের সেবায় নিজ অর্থ ব্যয় করতেও দ্বিধাবোধ করেন না। ব্যবসা পরিচালনার জন্য তিনি কর্মচারীদের দায়িত্ব সুষম বণ্টন করেন। কিন্তু তারই দোকানের ম্যানেজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী নির্ঝরকে নীচু জাতের বলে তার কাছে ঘেঁষতে দেয় না।
পাকবাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ থেকে নিশ্চিতপুরবাসীকে রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন আওলাদ মিয়া। তিনি গেরিলা দল গঠন করে পাকবাহিনীর চেকপোস্ট ও ক্যাম্পে ঝটিকা আক্রমণ করেন। এভাবে বেশ পাকসেনাকে হত্যা করেন। তার দুঃসাহসিক বিভিন্ন অপারেশন পাকবাহিনীর ঘুম হারাম করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দবির মিয়ার নেতৃত্বে পাকবাহিনী তার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। এমনকি তার বৃদ্ধ পিতাসহ স্বজনদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে অত্যাচার ও নির্যাতন করে।
বাঙালি স্বাধীনচেতা। কিন্তু এ জাতির ওপর বহুবার বিশ্বের পরাশক্তিগুলো আক্রমণ করেছে, স্বাধীনতা হরণ করেছে। তবুও বাঙালি দমে যায়নি। পরাধীনতার শিকল ভাঙার জন্য তারা বহু ত্যাগ স্বীকার করেছে। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তারা সহ্য করেছে পরাশক্তির অত্যাচার। শাসকের নির্যাতন, শোষণ, হারিয়ে যাওয়া বিষয় সম্পত্তি, আবাসস্থল অকাতরে বিলিয়েছে বুকের তাজা রক্ত, সজীবপ্রাণ। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য।
সহজ-সরল মানুষকে ঠকানোই হচ্ছে ছুরুক মিয়ার কাজ। সে অত্যন্ত ধূর্ত ও চালাক প্রকৃতির লোক। সে কৌশলে মানুষকে মুরিদ করে এবং ঘর্মীয় কথা বলে তাদের কাছ থেকে লচুর আর্থিক ফায়দা হাসিল করে নেয়। মুরিদদের বিশ্বাস পীর তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকলে আল্লাহও তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন। মূলত সমাজের কুসংস্কার ও ধর্মভীরুতার কারণেই ফুরুক মিয়া এহেন জঘন্য কাজে লিও।
দেউল গ্রামের সজিব দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে চা শ্রমিক কদর আলীর কিশোরী মেয়ে জমিলাকে বিয়ে করতে চায়। মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কদর আলী এ বিয়েতে রাজি হয়। জমিলা পিতৃ বয়সী সজিবকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায়। সে কাউকে কোনো কিছু না বলে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে শহরে পালিয়ে যায়। পথিমধ্যে রোকনের সঙ্গে দেখা হয়। রোকন তার বিবরণ শুনে তাকে পোশাক কারখানায় চাকরি দেয়।