পাকবাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ থেকে নিশ্চিতপুরবাসীকে রক্ষার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন আওলাদ মিয়া। তিনি গেরিলা দল গঠন করে পাকবাহিনীর চেকপোস্ট ও ক্যাম্পে ঝটিকা আক্রমণ করেন। এভাবে বেশ পাকসেনাকে হত্যা করেন। তার দুঃসাহসিক বিভিন্ন অপারেশন পাকবাহিনীর ঘুম হারাম করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দবির মিয়ার নেতৃত্বে পাকবাহিনী তার বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। এমনকি তার বৃদ্ধ পিতাসহ স্বজনদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে অত্যাচার ও নির্যাতন করে।
বাঙালি স্বাধীনচেতা। কিন্তু এ জাতির ওপর বহুবার বিশ্বের পরাশক্তিগুলো আক্রমণ করেছে, স্বাধীনতা হরণ করেছে। তবুও বাঙালি দমে যায়নি। পরাধীনতার শিকল ভাঙার জন্য তারা বহু ত্যাগ স্বীকার করেছে। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তারা সহ্য করেছে পরাশক্তির অত্যাচার। শাসকের নির্যাতন, শোষণ, হারিয়ে যাওয়া বিষয় সম্পত্তি, আবাসস্থল অকাতরে বিলিয়েছে বুকের তাজা রক্ত, সজীবপ্রাণ। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষকসহ সব পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য।