জিশান ও জাহেদ দুই বন্ধু। দু'জনের ধর্মচিন্তা দু'ধরনের। জিশান প্রকাশ্যে বলে যে, সে আল্লাহ, নবি, পরকাল এসবে বিশ্বাস করে না। তাকে বার বার সতর্ক করার পরও তার ধর্মচিন্তায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
পক্ষান্তরে জাহেদ মুসলমানদের সংস্পর্শে আসলে মুখে প্রকাশ করে যে, সে মুমিন। আবার যখন সে কাফেরদের কাছে নিভৃতে যায়, তখন তাদেরকে বলে, "আমিতো তোমাদেরই লোক, একান্ত তোমাদেরই সাথে আছি।"
রায়হান দাখিল পরীক্ষার্থী। ।। রমজান মাসের পরেই তাঁর পরীক্ষা। সে কারণে পরীক্ষার পরিপূর্ণ প্রস্তুতির জন্য রমজানের রোজা না রেখে সে বেশি বেশি পড়া শুনা করতে লাগল। এ অবস্থা দেখে তার পিতা তাকে বলল- রমজানের ফরজ রোজা পরিত্যাগ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিলে মহান আল্লাহ তোমার উপর নাখোশ হবেন এবং তুমি তার রহমত থেকে বঞ্চিত হবে। প্রত্যুত্তরে বায়হান বলল-"আব্বা, রমজান আমার জীবনে বারবার আসবে কিন্তু পরীক্ষা একবারের বেশি আসবে না।" এদিকে খবিরুন্নেছা রমজান মাসে রোজা রাখার নিয়তে সাহরি খেতে উঠে দেখে সোবহে ছাদেক হয়ে গিয়েছে। তার পরেও সে ঘরের দরজা বন্ধ করে সাহরি খেয়ে রোজা রাখে।
মুসলমানদের দু'টি পবিত্র স্থান | |
ক | খ |
সকল নামাজ আদায়ে যে দিকে মুখ ফেরাতে হয় | ১৬/১৭ মাস যাবত মুসলমানদের নামাজ আদায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট |
মক্কা নগরীতে যার অবস্থান | মক্কা নগরীর বাহিরে অবস্থিত। |
স্থানটি হযরত ইব্রাহিম (আ) এর স্মৃতি বিজরিত | সকল নবি যেখানে একত্রে নামাজ আদায় করেন |
বরকতময় পানির ইতিহাস সমৃদ্ধ | সকল যুগে ইয়াহুদিদের তীর্থস্থান হিসাবে খ্যাত |
হজ পালনের সাথে অপরিহার্যভাবে সম্পৃক্ত | হজ পালনে এ স্থানের কোনো সম্পর্ক নেই |
বায়তুল ফালাহ মাদ্রাসার দাখিল নবম শ্রেণির ক্যাপ্টেন কোনো একটি ঘটনায় ক্লাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ক্রুদ্ধ হয়ে তাদেরকে কর্কশ কথা বলে। এতে ক্লাসের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির মীমাংসার জন্য কুরআন শিক্ষক ও ইতিহাস শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে আসেন। কুরআন শিক্ষক ক্যাপ্টেনকে লক্ষ্য করে বলেন, "ক্রোধ দমন করো। মানুষকে ক্ষমা করো। তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাকে ভালোবাসবেন।" ইতিহাস শিক্ষক বলেন, এক যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরাম নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশনার বিপরীতে ইজতেহাদ করায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এতদসত্ত্বেও নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের সাথে নরম ভাষায় কথা বলেছেন এবং তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। ক্লাসের ক্যাপ্টেন হওয়া এক ধরনের নেতৃত্ব। ক্ষমা করা নেতৃত্বের অন্যতম গুণ।
কুরআন মাজিদের শিক্ষক মাও. শহীদ সাহেব ছাত্রদেরকে কুরআন মাজিদের আয়াতের পরিচয় দিতে গিয়ে বললেন পবিত্র কুরআন মাজিদের আয়াতসমূহ দু'ধরনের:
১ম = যার দ্বারা শরিয়তের আহকাম প্রতিষ্ঠিত, অর্থ স্পষ্ট ও বোধগম্য, যাকে কুরআনের মূল বলা হয়।
২য় = যার দ্বারা শরিয়তের আহকাম সাব্যস্ত হয় না। প্রকৃত অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেহ জানে না। ফিৎনা সৃষ্টিকারীরা ভুল অর্থ করার চেষ্টা করে।
লাখপুর গ্রামের করিম মাতব্বরের সাথে এলাকার রহীম সাহেবের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিলো। করিম সাহেব একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে রহীম সাহেব তার চরম বিরোধীতা শুরু করেন। এক পর্যায়ে রহীম সাহেব বলেন, প্রয়োজনে এ গ্রামে আরও একটি মসজিদ তৈরি করব। তবুও করিম সাহেবের সাথে আপোষ করবো না। এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কথা শুনতে পেরে এলাকার প্রবীণ আলিম মাও. আজিজুল্লাহ সাহেব বলেন আপনারা সকল মতবিরোধ ভুলে গিয়ে দ্বীনের স্বার্থে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রত্যাশায় একতাবদ্ধ হন।
জুমার খুতবায় বাইতুল্লাহর মর্যাদার কথা শুনে খালেদ বললো, আগামী বছর আমি কাবা ঘর তাওয়াফ করতে মক্কা যাব, ইন্শা আল্লাহ। এ কথা শুনে খালেদের এক চাচা বললো, "পাথরের তৈরি একটি ঘরের চারপাশে ঘুরে কী লাভ? আমি ওসব ফজিলতে বিশ্বাস করি না।" খালেদ তার চাচাকে বললো, আপনি সুস্থ্য মানুষ, কোটি কোটি টাকার মালিক। আপনার উপর হজ করা ফরজ। চাচা বললেন, আমি মনে করি হজ না করে সে টাকা গরিবদের দিয়ে দিলে বেশি সাওয়াব। খালেদ বললো, হজ ফরজ হওয়া সত্ত্বেও হজ না করলে তার পরিণতি মারাত্বক হবে।
দৃশ্যকল্প-১: আরমান তার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য বন্ধু হাশমতের নিকট থেকে এক বছরের জন্য ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা ধার নেয়। ছয়মাস পর আরমান দুই লক্ষ টাকা তার বন্ধু হাশমতকে ফেরত দেয়। এক বছর পর হাশমত অবশিষ্ট দুই লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে আরমান তা অস্বীকার করে বলে-তোমার সমুদয় টাকা আমি পূর্বেই ফেরত দিয়েছি। হাশমতের হাতে কোনো প্রমাণাদি না থাকায় সে আরমানকে কিছুই বলতে পারেনি।
দৃশ্যকল্প-২: শামীম গাজি বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। স্থানীয় বিত্তশালীদের থেকে নগদঅর্থ, জামাকাপড় ও বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করে বন্যার্তদের কাছে গিয়ে তা বিতরণের পূর্বেই তিনি নিজের পছন্দনীয় কিছু দামি পোষাক আত্মসাৎ করেন। বাকি মালামাল তাদের মাঝে বিতরণ করেন।