২০২৪ সালে দেশের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলের ১১টি জেলায় স্মরণাতীত কালের প্রলয়ংকরী বন্যায় বানভাসি মানুষের দুঃখ-দুর্দশা দেখে রশিদ সাহেব তাঁর পেনশনের টাকায় খাদ্যসামগ্রী কিনে বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করে তাদের জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসেন। অপরদিকে আরশাদ ব্যাপারী বন্যার্তদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে অল্প দামে তাদের গবাদি পশু, জমাজমি, স্বর্ণালংকার কিনে নিয়ে বিপুল ধন সম্পত্তির মালিক হয়ে যান।
উদ্দীপক-১
'এমন যদি হত
ইচ্ছে হলে আমি হতাম
প্রজাপতির মত।
নানান রঙ্গের ফুলের 'পরে
বসে যেতাম চুপটি করে
খেয়াল মত নানান ফুলের
সুবাস নিতাম কত।'
উদ্দীপক-২
মেধাবী শিক্ষার্থী শ্রেয়সী দুর্ঘটনায় দু'টি পা হারালে তার মধ্যবিত্ত বাবা-মা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া শেখান। সহপাঠিরাও সাহায্য সহযোগিতা করে। এখন সে একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক।
গ্রীসের রাজধানী এথেন্স। সপ্তম শততে এথেন্সের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়। অভিজাত শাসকগণ ও যোদ্ধাদের অতিরিক্ত ভোগ-বিলাস এবং সম্পদ সঞ্চয়ের ফলে সাধারণ কৃষক ও শ্রমিকদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠে। এর ফলে ভূমিহীন দরিদ্র কৃষক ও ঋণগ্রস্ত শ্রমিকরা অভিজাত শ্রেণির বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। তাদের আন্দোলন যখন তীব্র আকার ধারণ করে তখন তাদের আন্দোলনের মুখে শাসকশ্রেণি রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার সাধনে বাধ্য হয়।
গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বোমা হামলায় কিশোর জুন্নুরাইনদের বাড়ি বিধ্বস্ত হলে তার পরিবারের সকলেই গুরুতর আহত হয়ে একে একে মারা যায়। ভাগ্যক্রমে জুন্নুরাইন বেঁচে যায়। পরিবারের সকলকে হারিয়ে সে ভবঘুরে হয়ে পড়ে। গাজা ছেড়ে সকলে অন্যত্র চলে গেলেও সে প্রতিশোধের আশায় সেখানেই থেকে যায়। ভগ্নস্তূপের মধ্যে যা পায় পাগলের মত তাই খায়। পাগল ভেবে ইসরাইলের সেনারাও তাকে খেতে দেয়। সুযোগ বুঝে ইসরাইলি বাহিনীর গতিবিধি হামাসের নিকট পৌছি দেয়। একদিন বিশ্রামরত ইসরাইলি বাহিনীর একটি দলের উপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে দূরে পালিয়ে যায়।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল দেশ,
দাবি আদায়ে ছাত্রজনতার নেইকো লেশ।
মিছিলে মিছিলে রাস্তায় মানুষের ঢল
আন্দোলন ঠেকাতে ব্যস্ত শাসকের দল।
মুহুর্মুহু ছোড়ে গ্রেনেড, এলোপাতারি গুলি
ভয়ার্ত মানুষের দিগ্বিদিক ছোটাছুটি।
আহত মানুষের বাঁচার সে কী আকুতি
চিৎকার, আর্তনাদ কী হৃদয় বিদারক অনুভূতি।
লাশের কফিন আসে শহর, বন্দর, গাঁয়ে
শোকের মাতম তোলো রিয়া, সাঈদ, আহাদের মায়।
ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় রশিদ মোল্লা লোকজনকে বলেন, 'এটা খোদার গজব।' সেই সাথে অর্থের বিনিময়ে পানিপড়া, তাবিজ-কবজ দিতে থাকেন। উক্ত এলাকার প্রগতিশীল যুবক সবুজ মিয়া রশিদ মোল্লার এ সমস্ত কার্যক্রমের বিরোধিতা করে বলেন, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগের চিকিৎসা আছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে সামাজিক সচেতনতার পাশাপাশি মশার প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।
মামার অভাবের সংসারে মাতৃহারা উজ্জ্বল কিশোরী সুখীর বাস। উক্ত গ্রামে বিপত্নীক করিম শেখ সুখীর মামাকে চাষের জমিজমা প্রদানের বিনিময়ে সুখীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাব শুনে মামি সাথে সাথে রাজি হয়ে যান। বিয়ের ব্যাপারে মামা আমতা আমতা করলে মামি বলেন, বরের বয়স একটু বেশি তাতে দোষ কী? বিয়ে-শাদি খোদার ইচ্ছায় হয়। তাছাড়া এ বিয়ে হলে পরিবারের অভাব যেমন দূর হবে তেমনি সুখীর একটা ভাল ব্যবস্থাও হবে।' কিন্তু সুখীর নীরবতা ও চোখের পানি দেখে মামা বলেন, 'অভাবের তাড়নায় জীবন চলে গেলেও সুখী মাকে বয়স্ক পাত্রের সাথে বিয়ে দিব না।'