Academy

আজাদের বাবা নামকরা পীর ছিলেন। কিন্তু আজাদ লেখাপড়া শিখেছেন। শহরে চাকরি করেন। দীর্ঘদিন পর গ্রামে বেড়াতে আসেন। গ্রামের মুরব্বি তার কাছে এসে তাকে সালাম করতে যায়। আজাদ সাহেব নিজেই তাকে সালাম করেন, কিন্তু মুরব্বি এ ঘটনায় নিজেকে পাপী মনে করেন। আরেকজন তার কাছে পানি পড়া নিতে আসে। তাকে আজাদ সাহেব বোঝানোর চেষ্টা করেন।

বিয়ে হলো তকদিরের কথা- এ কথাটি বুঝিয়ে বলো ।

dsuc.created: 2 years ago | dsuc.updated: 6 months ago
dsuc.updated: 6 months ago

বিয়ে হলো তকদিরের কথা- এ কথাটি জমিদারপত্নী খোদেজা বলেছেন তাহেরাকে উদ্দেশ করে। এখানে দাম্পত্য জীবনের অনিশ্চিত সুখের বিষয়কে বোঝানো হয়েছে।
পৃথিবীতে মানুষের চেয়ে বিচিত্রতর আর কিছু নেই। কারণ বহুদিন পর্যবেক্ষণের পরেও একজন মানুষের গতি-প্রকৃতি সম্পর্কে বোঝা যায় না। মানুষ একান্তই দাম্পত্য সুখ কামনা করে। বিয়ে সংসার করলেই যে কেউ সুখী হবে, তার নিশ্চয়তা নেই, কেউ তা দিতে পারে না। এক্ষেত্রে দুর্বলচিত্ত মানুষ কর্মশক্তির তুলনায় ভাগ্যের ওপর বেশি নির্ভরশীল। তারা মনে করে, ভাগ্য ভালো হলে সুখ আসবে, আর ভাগ্য খারাপ হলে তা আসবে না। এ কারণেই বলা হয়েছে- বিয়ে হলো তকদিরের কথা।

সারকথা: দুর্বলচিত্ত মানুষ মনে করে, দাম্পত্য জীবনে সুখ। অনিশ্চিত, তাই তা ভাগ্যের ওপর ছেড়ে দেওয়াই উত্তম।

2 months ago

বাংলা সহপাঠ

Please, contribute to add content.
Content
Promotion