ফুলপুর ইউ.পি চেয়ারম্যান জনাব পাকির আলি তাঁর ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণের সাথে নিঃসংকোচে মিশে যান। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষগুলোর প্রতি তিনি খুবই আন্তরিক। তিনি তাঁদের দুর্দিনে যেমন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, তেমনি বিশেষ কোনো উপলক্ষ্যে তাঁদের আনন্দেরও অংশীদার হন। তাঁরাও তাঁর কথায় নিজেদের জীবন দিতে প্রস্তুত থাকেন। পাকির আলি বলেন, এরাই আমার শক্তি।
নদীভাঙনে বাড়ি ভেঙে গেলে শহরে সপরিবারে চলে আসেন জল্লি মিয়া। একটি বেসরকারি অফিসে পিয়নের কাজ নেন। কাজের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের যে-কোনো ব্যক্তিগত কাজ সানন্দে করে দেন। তাই সবাই তাঁর কাজে ভীষণ খুশি। অবসরে জলিল মিয়া তাঁর গ্রামের কথা ভাবেন। সেই সবুজ গাছে ঢাকা, পাখির কলকাকলিতে মুখর, নদীতীরের সেই শ্যামল গ্রামে ফিরে যেতে তাঁর প্রবল ইচ্ছা করে।
বিশ্ববিদ্যালয় পাঠ শেষ করে শফিক গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা শুরু করেন। গ্রামের তরুণ-যুবকদের সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন একটি গণপাঠাগার। তরুণ প্রজন্মকে পাঠ্য-বইয়ের পাশাপাশি পাঠাগারে বসে বই পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। কিন্তু কিছু অভিভাবক ক্লাসের পড়ার বাইরে অন্য বই পড়াকে সময়ের অপচয় বলে মনে করেন। তাঁরা শফিক স্যারের উদ্যোগের বিরোধিতা করতে এলে শফিক স্যার তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেন-রোগীর চিকিৎসার জন্য যেমন হাসপাতাল প্রয়োজন, তেমনি মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে নিয়মিত বই পড়া প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ এর সময় অল্প দিনের ব্যবধানে একে একে বাবা-মা ও একমাত্র বোনকে হারিয়ে একেবারে একা হয়ে পড়ে কিশোর তামিম। প্রথমে ভেঙে পড়লেও পরে ধীরে ধীরে শোক কাটিয়ে ওঠে সে। দেখাশোনা করার কোনো লোক না থাকায় তামিমের এক দূরসম্পর্কের খালা তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। খালাতো ভাই-বোনেরা তাকে মুহূর্তেই আপন করে নেয়। খালার কাছে থেকেই তামিম পড়াশোনা চালিয়ে যায়।
টানা ভারী বর্ষণে বাঁধ ভেঙে বন্যায় ক্ষেতের ফসল তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বিচলিত হয়ে পড়েন করিমগঞ্জের কৃষকরা। বন্যার হাত থেকে বাঁচার জন্য মাতব্বর রহিম সরদার নামকরা পীর মনোয়ার হাজীকে নিয়ে আসেন। কিন্তু করিমগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মতিন চৌধুরী বন্যা প্রতিরোধে পীরের উপর নির্ভর না করে এলাকার যুবকদের সংগঠিত করেন। বয়স্করা যখন বন্যা ঠেকাতে পীরের দ্বারস্থ হন, তখন মতিন চৌধুরীর নেতৃত্বে যুবকরা প্রাণপণে বাঁধ মেরামত করে বন্যা ঠেকানোর চেষ্টা করতে থাকেন।
ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জামান সাহেব একটি শিল্প কারখানা স্থাপন করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সময়মতো উৎপাদনে যেতে না পারায় তিনি যথাসময়ে ব্যাংক-ঋণ শোধ করতে পারেননি। ফলে আইন অনুযায়ী ব্যাংক তাঁর কারখানা বাজেয়াপ্ত করার নোটিশ জারি করে। জামান সাহেবের ছোট ভাই সালাম ঘটনা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। সালামের আর্থিক সাহায্য নিয়ে জামান সাহেব তার কারখানা রক্ষা করতে সক্ষম হন।