মঞ্জু ও সঞ্জু দুই বন্ধু। দুজনই স্নাতক পাশ করে আত্মকর্মসংস্থানের জন্যে ফল বাগান করে। মঞ্জু উৎপাদিত ফল থেকে তার অংশ আগেই আলাদা করে নেয়। মৌসুমের শুরুতেই বেশি লাভের আশায় অপরিপক্ক ফলে ক্ষতিকর রাসায়নিক মিশিয়ে বিক্রি করে। অপরদিকে সঞ্জু তা করে না। সে মনে করে, 'ক্রেতারা আমার বাগানের মিষ্টি, পরিপক্ক ও নিরাপদ ফল খেয়ে তৃপ্ত হলেই আমার বাগান করা সার্থক হবে।
সাহিত্যের এক ধরনের শাখা আছে যেখানে লেখক সাধারণত কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে অবলম্বন করে পাঠক সমাজকে কিছু জানানোর উদ্দেশ্যে কিংবা সে বিষয়ে নিজস্ব মতামত জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে লিখেন। সেক্ষেত্রে লেখক ভাবের অনুগামী ভাষা ব্যবহার করেন, কখনো তথ্য ও তত্ত্বের সমাবেশ ঘটান, কখনো যুক্তি বিশ্লেষণের মধ্যে দিয়ে বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার চেষ্টা করেন। তাই এ ধরনের রচনায় ভাব, ভাষা, যুক্তি ও বর্ণনার একটা আঁটসাঁট বন্ধন থেকে যায়।
স্তবক-১ :
মানুষ, সৃষ্টির নেশায় যারা থাকে মগ্ন
ব্যর্থ হয় কখনো কখনো
ভেঙে যায় সব স্বপ্ন।
তবুও দমিয়ে থাকে না তারা
আবারো গড়ে আপন ভূবন।
স্তবক-২:
রাখাল ছেলে চড়ায় ধেনু বাজায় বেনু অশথ মূলে
সেই গানেরই পুলক লেগে ধানের ক্ষেত ওই উঠল দুলে।
সেই গানেরই পুলক লেগে বিলের জলের বাঁধন টুটে
মায়ের মুখের হাসির মতো কমল কলি উঠল ফুটে।
উদ্দীপক-১: মুর্দা ফকির দুর্ভিক্ষে নিজের চোখের সামনে আপনজনদের মারা যেতে দেখেছেন।
মানুষগুলোকে কবর দেওয়ার সামর্থ্যও তার ছিল না। সেই থেকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে
গোরস্থানের স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে যান তিনি।
উদ্দীপক-২:
ওরা গিয়েছিল রাতের আঁধারে সূর্য আনার জন্য,
সারা দেশ জুড়ে রক্তপদ্ম ফোঁটালো যে অনন্য।
দেখেছে সে ফুল হাজার মানুষ, বাংলার পথে পথে।
উদ্দীপক-১: ইসরাইলের দখলদার বাহিনী ফিলিস্তিনের নিরিহ নিরোপরাধ জনগোষ্ঠী নিধনে
মেতে উঠেছে। তারা নির্বিচারে নারী-পুরুষ ও শিশু হত্যা করছে। বিমান হামলা করে গুড়িয়ে
দিচ্ছে তাদের বাড়ি-ঘর। প্রাণভয়ে তারা মিশর, লেবাননসহ পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্তে আশ্রয় নিচ্ছে
উদ্দীপক-২:
এদেশের মাটি আমার শরীরের মাংসের মতো,
কেউ চাইলেই আমার শরীর থেকে
মাংস কেটে দিতে পারি না।
এদেশের বাতাস আমার প্রতিটি বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস
কেউ চাইলেই আমার নিঃশ্বাসের বাতাসে
বারুদের গন্ধ ছড়াতে পারে না।
দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া বেশ কয়েকদিন থেকে স্কুলে অনুপস্থিত। বিষয়টি লক্ষ্য করে প্রধান শিক্ষক তার সহপাঠীদের কাছ থেকে জানতে পারেন সুরাইয়াকে তার বাবা বিয়ে দিতে যাচ্ছেন। কিন্তু সুরাইয়া এখন বিয়ে করতে চায় না। লেখা-পড়া করে প্রতিষ্ঠিত হতে চায়। প্রধান শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সুরাইয়ার বিয়ে বন্ধ করিয়ে তাকে লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ার পথ সুগম করেন।