শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র (পাঠ ১০ - ১১)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - বিজ্ঞান শব্দের কথা | - | NCTB BOOK
74
74

শব্দ সৃষ্টিকারী যন্ত্র দুরকমের-সুরেলা যন্ত্র ও বেসুরো যন্ত্র। সুরেলা যন্ত্র হলো, বাঁশি, হারমোনিয়াম, একতারা, দোতারা, সেতার, ইত্যাদি। বেসুরো যন্ত্র অনেক তবে আমাদের অতি পরিচিত দুটি হলো, গাড়ির হর্ন ও সাইকেল বা রিকশার বেল।

বাঁশি: বাঁশির ভিতরকার বাতাসের কম্পনের ফলে সুর সৃষ্টি হয়। ফুঁ দিয়ে বাঁশির নলে বাতাস ঢুকানো হয়। বাঁশির দৈর্ঘ্য ও ছিদ্র সংখ্যার উপর শব্দের তীক্ষ্ণতা নির্ভর করে।

কাজ: একটি খোলা নলের দৈর্ঘ্যের সাথে শব্দের তীক্ষ্ণতার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: একটি পান করার নল ও একটি কাঁচি।
পদ্ধতি: নলটির এক প্রান্ত চেপ্টা করে নাও। এখন চেপ্টা প্রান্তটি চিত্রের মতো সরু করে কাট। কাটা প্রান্তটি মুখে নিয়ে ফুঁ দাও। কী রকম শব্দ হয় লক্ষ কর। এবার নলের অপর মাথাটি কেটে খাটো কর। উৎপন্ন শব্দের তীক্ষ্ণতার কোনো পার্থক্য শুনতে পাচ্ছ কি?
খাটো নলে শব্দের তীক্ষতা বেশি।

একতারা ও দোতারা: এগুলো তার-বিশিষ্ট বাদ্যযন্ত্র। এসব যন্ত্রে তারের কম্পনের ফলে সুশ্রাব্য বা সুরেলা শব্দ সৃষ্টি করা যায়। এসব বাদ্যযন্ত্রের তারকে টেনে ছেড়ে দিলে বা কোনো কিছু দিয়ে নাড়াচাড়া করলে তা কাঁপে এবং সুরেলা শব্দ উৎপন্ন করা যায়। তারের দৈর্ঘ্য ও পুরুত্ব বাড়িয়ে বা কমিয়ে এবং বেশি শক্ত করে টানটান করে শব্দের তীক্ষ্ণতা পরিবর্তন করা যায়।

সাইকেল বা রিকশার বেল: আমরা সাইকেল বা রিকশার বেলের টুংটাং শব্দের সাথে পরিচিত। কিন্তু এই বেল কী করে শব্দ উৎপন্ন করে তা তোমরা জানো কি? এই বেলে গোলাকার একটি ধাতব বাটি উপুড় করে রাখা হয়। বাটির নিচে একটি ধাতব হাতুড়ি লাগানো হয়। একটি হাতলের সাহায্যে হাতুড়ি নাড়াচাড়া করলে তা বাটিতে আঘাত করে। বাটির কম্পনের ফলে টুংটাং ঘণ্টা বাজে।

এই অধ্যায়ে শেখা নতুন শব্দ
শ্রাব্য, অশ্রাব্য, কানের পর্দা, শ্রুতিপূর্ব শব্দ, শ্রুতি-উত্তর শব্দ, সুশ্রাব্য শব্দ, নয়েজ বা অপ্রীতিকর শব্দ ও শব্দ দূষণ।

এ অধ্যায়ে আমরা যা শিখলাম

  • বসতুর কম্পনের ফলে শব্দ উৎপন্ন হয়।
  • শব্দ সঞ্চালনের জন্য মাধ্যম প্রয়োজন। ভ্যাকুয়াম বা শূন্য মাধ্যমে শব্দ চলতে পারে না।
  • মানুষের কানের শ্রাব্যতার সীমা ২০ হার্জ-২০,০০০ হার্জ।
  • কুকুর ২০,০০০ হার্জের চেয়ে বেশি কম্পাঙ্কের শব্দ শুনতে পায়।
  • ২০ হার্জ কম্পাঙ্কের নিচের শব্দকে শ্রুতিপূর্ব শব্দ বলে।
  • ২০,০০০ হার্জের বেশি কম্পাঙ্কের শব্দকে শ্রুতি-উত্তর শব্দ বলে।
  • অপ্রীতিকর বা বিরক্তিকর শব্দ হলো নয়েজ।
  • শব্দের বেগ কঠিন পদার্থে সবচেয়ে বেশি এবং বায়বীয় পদার্থে সবচেয়ে কম।
  • পরিবেশে অতিরিক্ত বা অবাঞ্ছিত শব্দের উপস্থিতি হলো শব্দদূষণ। শব্দদূষণ স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর। শব্দদূষণ থেকে অনিদ্রা, মাথাব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, কানে কম শোনা, বিরক্তি, ইত্যাদি রোগ হতে পারে।
  • রাস্তা বা বাড়ির আশেপাশে গাছ লাগিয়ে শব্দদূষণ কমানো যায়।
common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion