মঞ্জুর সাহেবের ভগ্নিপতি মারা যাওয়ার পর ভগিনী মাজেদাকে নিয়ে এসে মানুষ করে। টাকা বাঁচানোর জন্য মাজেদাকে ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। মঞ্জুর সাহেবের স্ত্রী এর প্রতিবাদ করে এবং তা হতে দেয়নি।
বহিপীর' নাটকে হাতেম আলি একজন আদর্শ মানুষ। কারণ তিনি টাকার জন্য তাহেরাকে পীরের হাতে তুলে দিতে রাজি হননি- এই বিষয়টি উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের চরিত্রের সঙ্গে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ।
বৈষয়িক সুবিধার জন্য মানুষ কখনো কখনো অন্যের অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করে, যা অন্যায় ও অমানবিকতা। আর যাঁরা মানবতাবোধসম্পন্ন, তাঁরা নিজের সুবিধার জন্য অন্যকে কষ্ট দেন না, বরং নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অন্যের স্বার্থকে রক্ষা করেন।
উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেব একজন স্বার্থবাদী মানুষ। তাই টাকা বাঁচানোর জন্য সে তার বোনকে এক ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে দেওয়ার চিন্তা করে। মঞ্জুর সাহেবের বিপরীত চরিত্র হলো 'বহিপীর' নাটকের হাতেম আলি। কারণ তিনি জমিদারি রক্ষা করার ক্ষেত্রে পীরের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়ার শর্তেও বহিপীরের হাতে তাহেরাকে তুলে দিতে রাজি হননি। সুতরাং দেখা যায় যে, উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেবের সঙ্গে 'বহিপীর' নাটকের হাতেম আলির চরিত্রের বৈসাদৃশ্য বিদ্যমান।
সারকথা: সারকথা: 'বহিপীর' নাটকের হাতেম আলি টাকার বিনিময়ে তাহেরাকে পীরের হাতে তুলে দিতে রাজি হননি। আর উদ্দীপকের মঞ্জুর সাহেব টাকা বাঁচাতেই বোনকে ব্যবসায়ীর দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বিয়ে দিতে চেয়েছে।