Microservices আর্কিটেকচার একটি সফটওয়্যার ডিজাইন প্যাটার্ন, যেখানে একটি বড় এবং জটিল অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট, স্বাধীন, এবং স্বয়ংসম্পূর্ণ সেবা বা সিস্টেমে বিভক্ত করা হয়। প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস এককভাবে তৈরি, পরীক্ষা, ডেপ্লয় এবং স্কেল করা যায়, যা পুরো সিস্টেমের আর্কিটেকচারকে অনেক বেশি ফ্লেক্সিবল এবং ডায়নামিক করে তোলে।
Microservices আর্কিটেকচারের মূল উদ্দেশ্য হল, অ্যাপ্লিকেশনকে ছোট ছোট সেবাতে ভাগ করা, যাতে প্রতিটি সেবা নির্দিষ্ট একটি ব্যবসায়িক কাজ বা ফিচার সম্পাদন করে এবং একে অপরের সাথে সংযুক্ত হয়ে পুরো সিস্টেমে কাজ করে। এতে একাধিক টিম একটি বৃহৎ প্রজেক্টে কাজ করতে পারে, কারণ প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিসের নিজস্ব ডেভেলপমেন্ট, ডেপ্লয়মেন্ট এবং মেইনটেন্যান্স প্রক্রিয়া থাকে।
Microservices আর্কিটেকচারের একটি বড় সুবিধা হল, প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস আলাদা ভাবে স্কেল করা যায়। যেমন, যদি কোনো একটি মাইক্রোসার্ভিস বেশি লোড নিয়ে কাজ করে, তাহলে সে মাইক্রোসার্ভিসটির স্কেল বৃদ্ধি করা যেতে পারে, অন্যগুলোতে কোনো প্রভাব না পড়বে। এটি ক্লাউড এনভায়রনমেন্টে বেশ কার্যকরী হয়, যেখানে বিভিন্ন সেবার জন্য আলাদা রিসোর্স এবং পরিবেশ তৈরি করা যায়।
Microservices ব্যবহারের মাধ্যমে, প্রতিটি সেবা স্বাধীনভাবে ডিপ্লয় করা সম্ভব। যদি কোনো এক মাইক্রোসার্ভিসে পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে পুরো সিস্টেমকে পুনরায় ডিপ্লয় না করেই, শুধুমাত্র সেই সেবাটির আপডেট বা পরিবর্তন করা যেতে পারে। এটি ডেভেলপমেন্ট সাইকেলকে দ্রুত এবং আরও দক্ষ করে তোলে।
Microservices আর্কিটেকচার বিভিন্ন টেকনোলজি, প্রোগ্রামিং ভাষা, বা ডেটাবেস ব্যবহারের সুযোগ দেয়। প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিসের নিজস্ব প্রযুক্তি স্ট্যাক থাকতে পারে, যা মাইক্রোসার্ভিসটির প্রয়োজনীয়তা অনুসারে নির্বাচিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি মাইক্রোসার্ভিস Java দিয়ে তৈরি হতে পারে, আর অন্যটি Python দিয়ে।
Microservices আর্কিটেকচারের আরেকটি সুবিধা হল, একাধিক সেবার মধ্যে ব্যর্থতা বা সমস্যা হলে, অন্য সেবাগুলো সাধারণত প্রভাবিত হয় না। যদি একটি মাইক্রোসার্ভিস ডাউন হয়, তাহলে অন্যান্য সেবাগুলো অবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করতে থাকে, এবং সমস্যা সমাধান হলে মাইক্রোসার্ভিসটি আবার কাজ করতে শুরু করে।
Microservices টিমের প্রতিটি সদস্য আলাদা আলাদা সেবার জন্য কাজ করতে পারেন, যার ফলে উন্নয়ন প্রক্রিয়া দ্রুত হয়। ছোট সেবাগুলো নিয়ে কাজ করার কারণে, ডেভেলপাররা দ্রুত নতুন ফিচার এবং বাগ ফিক্স তৈরি করতে পারে।
Microservices আর্কিটেকচারে, অ্যাপ্লিকেশনটি অনেক ছোট ছোট সেবায় ভাগ করা হয়। প্রতিটি সেবা একটি নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক কাজ বা প্রক্রিয়া সম্পাদন করে এবং অন্যান্য সেবার সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে।
Microservices ব্যবহারে API Gateway একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা বিভিন্ন মাইক্রোসার্ভিসের মধ্যে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সার্ভিসগুলোর এন্ট্রি পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীর অনুরোধকে সঠিক মাইক্রোসার্ভিসে পাঠিয়ে দেয়। এর মাধ্যমে, সেন্ট্রালাইজড লোড ব্যালেন্সিং, নিরাপত্তা, রেট লিমিটিং, এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা যায়।
Microservices আর্কিটেকচারে, প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিসের নিজস্ব ডেটাবেস থাকতে পারে, যা ঐ মাইক্রোসার্ভিসের ডেটা স্টোরেজ এবং পরিচালনা করে। এটি ডেটাবেসের প্রাপ্যতা এবং পারফরম্যান্সের উপর মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ দেয়।
Microservices একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে বিভিন্ন প্রোটোকল ব্যবহার করতে পারে, যেমন RESTful APIs, gRPC, or messaging queues (RabbitMQ, Kafka)। সাধারণত HTTP, JSON এবং XML ফর্ম্যাটে মেসেজ আদান-প্রদান করা হয়।
Microservices আর্কিটেকচারে, মাইক্রোসার্ভিসগুলোকে সাধারণত কনটেইনারে মোড়ানো হয়, যেমন Docker। কনটেইনার প্রযুক্তি দিয়ে প্রতিটি মাইক্রোসার্ভিস আলাদা পরিবেশে চলতে পারে। Kubernetes এর মতো অর্কেস্ট্রেশন টুলস দিয়ে কনটেইনারগুলো সহজে পরিচালনা করা যায়, যেমন স্কেলিং, রোলআউট, এবং রোলব্যাক।
Microservices ব্যবহারে, প্রতিটি সেবা পৃথকভাবে মনিটর করা হয় এবং তার জন্য আলাদা লগিং সিস্টেম থাকতে পারে। এগুলোর মধ্যে ডিস্ট্রিবিউটেড ট্রেসিং এবং লগ অ্যাগ্রিগেশন টুল (যেমন ELK stack, Prometheus, Grafana) ব্যবহার করা হয়, যা সিস্টেমের অবস্থান এবং কর্মক্ষমতা বিশ্লেষণ করতে সহায়তা করে।
Microservices আর্কিটেকচার জটিল হতে পারে, কারণ এর মধ্যে অনেক ছোট ছোট সেবা থাকে, যা একে অপরের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করে। এতে ডেভেলপমেন্ট, ডেপ্লয়মেন্ট এবং মনিটরিং আরও জটিল হয়ে ওঠে।
Microservices আর্কিটেকচারে, অনেক সেবা একসাথে কাজ করে, কিন্তু একটি সেবা ব্যর্থ হলে পুরো সিস্টেমে সমস্যা হতে পারে। ডিস্ট্রিবিউটেড ট্রানজেকশনগুলো সমাধান করতে সক্ষম হতে অনেক কঠিন, কারণ একাধিক সেবা আলাদা আলাদা ডেটাবেসে কাজ করে।
Microservices ব্যবহারে সেবা পর্যবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, কারণ প্রতিটি সেবা আলাদা রানটাইমে কাজ করে এবং তার নিজস্ব নিরীক্ষণ পদ্ধতি থাকতে পারে। পুরো সিস্টেমের কার্যক্রম ঠিকভাবে বুঝতে হলে, সবার মনিটরিং একত্রিত করতে হবে।
Microservices আর্কিটেকচার একটি আধুনিক সফটওয়্যার ডিজাইন প্যাটার্ন, যা অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে ছোট, স্বাধীন সেবাতে ভাগ করে। এর মাধ্যমে অ্যাপ্লিকেশনগুলো দ্রুত স্কেল করা, ডিপ্লয় করা এবং উন্নয়ন করা যায়। এই আর্কিটেকচারের মাধ্যমে টিমগুলি একে অপরের কাজ থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে, তবে কিছু চ্যালেঞ্জ যেমন জটিলতা এবং সেবা পর্যবেক্ষণ সমাধান করা প্রয়োজন। Microservices আর্কিটেকচার বর্তমানে ক্লাউড-ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টের জন্য একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি।
common.read_more