বায়তুল ফালাহ মাদ্রাসার দাখিল নবম শ্রেণির ক্যাপ্টেন কোনো একটি ঘটনায় ক্লাসের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ক্রুদ্ধ হয়ে তাদেরকে কর্কশ কথা বলে। এতে ক্লাসের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ঘটনাটির মীমাংসার জন্য কুরআন শিক্ষক ও ইতিহাস শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে আসেন। কুরআন শিক্ষক ক্যাপ্টেনকে লক্ষ্য করে বলেন, "ক্রোধ দমন করো। মানুষকে ক্ষমা করো। তাহলে আল্লাহ তাআলা তোমাকে ভালোবাসবেন।" ইতিহাস শিক্ষক বলেন, এক যুদ্ধে সাহাবায়ে কেরাম নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নির্দেশনার বিপরীতে ইজতেহাদ করায় অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হন। এতদসত্ত্বেও নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের সাথে নরম ভাষায় কথা বলেছেন এবং তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। ক্লাসের ক্যাপ্টেন হওয়া এক ধরনের নেতৃত্ব। ক্ষমা করা নেতৃত্বের অন্যতম গুণ।
কুরআন মাজিদের শিক্ষক মাও. শহীদ সাহেব ছাত্রদেরকে কুরআন মাজিদের আয়াতের পরিচয় দিতে গিয়ে বললেন পবিত্র কুরআন মাজিদের আয়াতসমূহ দু'ধরনের:
১ম = যার দ্বারা শরিয়তের আহকাম প্রতিষ্ঠিত, অর্থ স্পষ্ট ও বোধগম্য, যাকে কুরআনের মূল বলা হয়।
২য় = যার দ্বারা শরিয়তের আহকাম সাব্যস্ত হয় না। প্রকৃত অর্থ আল্লাহ ছাড়া কেহ জানে না। ফিৎনা সৃষ্টিকারীরা ভুল অর্থ করার চেষ্টা করে।
লাখপুর গ্রামের করিম মাতব্বরের সাথে এলাকার রহীম সাহেবের দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিলো। করিম সাহেব একটি মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে রহীম সাহেব তার চরম বিরোধীতা শুরু করেন। এক পর্যায়ে রহীম সাহেব বলেন, প্রয়োজনে এ গ্রামে আরও একটি মসজিদ তৈরি করব। তবুও করিম সাহেবের সাথে আপোষ করবো না। এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কথা শুনতে পেরে এলাকার প্রবীণ আলিম মাও. আজিজুল্লাহ সাহেব বলেন আপনারা সকল মতবিরোধ ভুলে গিয়ে দ্বীনের স্বার্থে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের প্রত্যাশায় একতাবদ্ধ হন।