বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চলে টেকটোনিক প্লেটগুলোর সময়ের সঙ্গে বিবর্তন

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - আর্কাইভ - বিজ্ঞান বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ | - | NCTB BOOK
206
206

বাংলাদেশে কোনো আগ্নেয়গিরি না থাকলেও বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়ে থেকে। বাংলাদেশের ভূতাত্ত্বিক গঠন, টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান এবং ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভারত উপমহাদেশের উত্তর-পূর্ব অংশ এবং বঙ্গোপসাগরের উত্তরে বাংলাদেশের অবস্থান। টেকটোনিক গঠনগত দিক দিয়ে ইন্ডিয়ান প্লেট, ইউরেশিয়ান প্লেট এবং বার্মিজ মাইক্রো প্লেটের সংযোগস্থল বাংলাদেশ এবং তার কাছাকাছি এলাকায় পড়েছে। এ জন্য বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট, ময়মনসিংহ এমনকি ঢাকা শহরেও বছরে এক বা একাধিক ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটে।

প্লেট সীমানাতে অনেকগুলো চ্যুতিরেখা বা Fault Line থাকে। এসব চ্যুতিরেখা বরাবর যে ভূমিকম্প হয় তা নির্ভর করে মূলত প্লেটের গতি এবং সর্বশেষ কত সময় আগে ভূমিকম্প হয়েছে তার উপর। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে প্লেট সীমানায় অবস্থিত চ্যুতিরেখায় শক্তি সঞ্চিত হতে থাকে। বাংলাদেশের ভেতর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেসব চ্যুতিরেখা সক্রিয় রয়েছে, সেগুলো যেকোনো সময় মাঝারি থেকে শক্তিশালী মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে পারে। এই চ্যুতিরেখাগুলো হচ্ছে, ডাউকি চ্যুতি রেখা, শিলং মালভূমি, মধুপুর চ্যুতি, আসাম-সিলেট চ্যুতি এবং চট্টগ্রাম-মিয়ানমার প্লেট সীমানার চ্যুতি।

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion