পদ্য লেখার জোরে (মাহমুদুল হক)

সপ্তম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - আনন্দপাঠ - | NCTB BOOK
235
235

এক দেশে ছিলেন এক বাদশাহ। হাতি-ঘোড়া সেপাই-সাস্ত্রি কোনোকিছুরই তাঁর অভাব ছিল না। বাদশাহর নাম শমশের আলীজান।
কোনো এক সময় বাদশাহ খুব অসুবিধায় পড়লেন। তাঁর নামের সঙ্গে মিলে যায় রাজ্যে এমন লোকের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়।

ছুতোর, কামার, গাছকাটা শিউলি এদের সকলের নামও শমশের। গোটা রাজ্য শমশেরময় হয়ে আছে এককথায়। তাই বাদশাহ একদিন উজির-নাজির, পাত্র-মিত্র, সভাসদ সবাইকে ডেকে দরবারে ঘোষণা করলেন- আমার ক্ষমতা তোমাদের সকলের চেয়ে খুব কম করে হলেও তিন গুণ বেশি; সুতরাং আজ থেকে আমার নামকে তিন দিয়ে গুণ করে ঠিক এইভাবে উচ্চারণ করতে হবে-

শমশের
শমশের
শমশের আলীজান

এই ঘোষণায় বিশেষ করে উজির আক্কেল আলী খুব খুশি হলেন। তিনি বললেন, 'বাদশাহ নামদার দীর্ঘজীবী হউন।'

উজির আক্কেল আলী ছিলেন বাদশার সবচেয়ে প্রিয় পাত্র। তাঁর ওপর বাদশাহর বিশ্বাসও অগাধ। বাদশাহ ধরে নিয়ে আসতে বললে তিনি বেঁধে নিয়ে আসেন। বাদশাহ হাঁচলে-কাশলে তিনি ডুকরে কেঁদে ওঠেন।

একদিন হয়েছে কি, বাদশাহ উজিরকে সঙ্গে নিয়ে তিনমহল প্রাসাদের পাশ কাটিয়ে হাওয়া খেয়ে বেরোবার সময় দেখেন প্রাচীরের গায়ে একরাশ হিজিবিজি লেখা। বাদশাহ বললেন, 'দাঁড়াও, পড়ে দেখা যাক।'

আক্কেল আলী আক্কেল আলী

দেব তোরে কী,

ঘুমের ঘোরে চাঁদিতে তোর

গাঁট্টা মেরেছি।

উজির গরগর করতে করতে বললেন, 'এ্যাঁ, এ কি সত্যি কথা?'
বাদশাহ বললেন, 'খেপেচো নাকি। কেউ ঠাট্টা করে লিখেছে আর কি!'
বাদশার কথা শেষ হতে না-হতেই উজির চোখ বড়ো বড়ো করে বললেন, 'কী সব্বোনাশ! ওই দেখুন বাদশাহ
নামদার, বাঁ দিকের প্রাচীরে আপনার নামেও কী কথা সব লিখে রেখেছে।'
বটে বটে, বলে বাদশাহ পড়ে দেখলেন-

শমশের
শমশের
শমশের আলীজান,
আমরুল
জামরুল
কচু ঘেঁচু সবই খান।
শমশের
শমশের
শমশের আলীজান,
খিটখিটে
মিটমিটে
শকুনের মতো জান।

রাগে আগুন হয়ে বাদশাহ বললেন, 'দেখেছ কী ওটা? আমার জান বলে শকুনের মতো। এ্যা এত বড়ো কতা!' উজির বললেন, 'শূলে চড়াব বাদশাহ নামদার, শূলে চড়াব! যদি না-পারি আমার নাম আক্কেল আলীই নয়। ইশ, কী বিচ্ছিরি কতা!'

এরপর অন্যান্য দিনের মতো বাদশাহ দরবারে বসলেন। বললেন, 'কার কী আর্জি আছে পেশ করো।' নাজির উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, 'বাদশাহ নামদার, আমার নামদার, আমার বাড়ির উঠোনে আজ সকালে একটা ঘুড়ি উড়ে এসে পড়েছিল, তাতে সব বাজে বাজে পদ্য লেখা।'

বাদশাহ গম্ভীরভাবে বললেন, 'কী লেখা ছিল? উজির আবৃত্তি করে বললেন-

শমশের শের নয়

লেজকাটা হনুমান,

বিড়ালের ডাক শুনে

দেন তিনি পিটটান।

কাঁঠালের মতো মাথা

আক্কেল আলীটার

ঘাসখেগো বুদ্ধি এন্তার এন্তার।
সকলে গাম্ভীর্য বজায় রাখবার জন্য মুখ নিচু করে থাকল।

সভাসদদের মধ্যে থেকে একজন উঠে দাঁড়িয়ে সোজাসুজি আবৃত্তি করতে শুরু করে দিলেন-

তিনগুণ শমশের পেল্লায় ভুঁড়ি

দশগুণ বোকামিতে দেয় হামাগুড়ি।

খাঁদানেকো টাকমাথা আবলুশ কাঠ

বিশগুণ লোভে টেকো ঘোরে মাঠ-ঘাট।

বাদশাহ খেপে উঠে বললেন, 'তার মানে? তোমরা সব পাল্লা দিচ্ছ নাকি?'

সভাসদ বললেন, 'বাদশাহ নামদার বেয়াদবি মাফ করবেন, আজ সকালে আমার বাড়ির সামনেও একটা ঘুড়ি এসে পড়ে, তাতে লেখা ছিল ওইসব।'

বাদশাহ বিরক্ত হয়ে সেদিনকার মতো দরবার ভেঙে দিলেন।
পরদিন উজির দরবারের দিকে আসবার পথে দেখেন গাছের ডালে ঝুলছে রঙিন এবং বেশ বড়ো একটা ঘুড়ি।
ঘুড়িটার ওপর রং দিয়ে তাঁর মুখ খুব বিশ্রীভাবে আঁকা। আর তাতে লেখা:

আক্কেল আলী উজির বটে

কুলোপানা কান

পেটের পিলে বাড়ছে কেবল

গোলায় বাড়ে ধান।

উজির তক্ষুনি বাদশাহর কাছে ছুটলেন। বললেন, 'কাঁহাতক আর সহ্য করা যায় বাদশাহ নামদার, একটা বিহিত কত্তেই হবে।' বাদশাহ বললেন, 'আজ থেকে রাজ্যময় আইন জারি করা গেল, ঘুড়ি ওড়ানো আর তৈরি করা দুটোই বনদো। যারা মানবে না, তাদের হাত কেটে দেওয়া হবে, হাত।' উজির বললেন, 'খাসা আইন হয়েছে বাদশাহ নামদার। এইবার বাছাধনেরা জব্দ হবে, অ্যাঁ!'

পরদিন দেখা গেল শাহিমহলের সামনের ময়দানে রাজ্যের যত ছেলেপিলেরা শুকনো কলাপাতার তৈরি গোল গোল কী সব ঘুড়ির মতো ওড়াচ্ছে।

বাদশাহ হাঁক পেড়ে বললেন, 'ধরো ওদের, হাত কেটে দাও ওদের সকলের। বাদশাহর হুকুমে ছেলেদের সবাইকে গরুবাঁধা করে ধরে আনা হলো।' বাদশাহ চিৎকার করে বললেন, 'তোমরা আমার হুকুম অমান্য করে ঘুড়ি উড়িয়েচ কেন?'

তাদের মধ্যে থেকে একজন চটপটে গোছের জবাব দিল, 'আমরা ঘুড়ি ওড়াইনি। ঘুড়ি তো চারকোণওয়ালা কাগজের তৈরি হয়।'

বাদশাহ বললেন, 'যা ওড়ে তাই ঘুড়ি। ছেলেটি খুব আশ্চর্য হয়ে বললে- তা হলে পাখি, তুলো, ধুলো, হাওয়ার জাহাজ সবই কি ঘুড়ি? পাখিদের উড়তে দিচ্ছেন কেন? ওদেরও বারণ করে দিন।'

বাদশাহ গর্জন করে বললেন, 'চোপরও! ব্যাপারটা গন্ডগোলের ঠেকছে। ঠিক হায়, পণ্ডিত কই!'
পণ্ডিত এসে বললেন, 'বাদশাহ নামদার, বই তো অন্যরকম কথা বলে। যাহা ঘুরঘুর করে ওড়ে তা-ই ঘুড়ি।'
ছেলেটি চোখ বড়ো বড়ো করে বললে, 'ঘুরঘুর করে আবার কিছু ওড়ে নাকি। আপনি কিছুই জানেন না দেখছি!
ওড়ে তো পতপত করে আর ফুরফুর করে ঘোরে।'

পণ্ডিত বললেন, 'থামো দিকি, বেশি ফ্যাচোর ফ্যাচোর কোচ্চো কেন বাপু। তা বাদশাহ নামদার একটু সময় লাগবে, বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে কিনা।'

বাদশাহ বললেন, 'বেশি সময় দিতে পারব না। এক্ষুনি নতিপত্তোর হাতড়ে দ্যাকো। এটা বিহিত কত্তেই হবে।' পণ্ডিত বললেন, 'এ কি আর গোলায় ধান জমানো বাদশাহ নামদার, এ হলো গিয়ে আপনার দশমুনে অভিধান ঘাঁটাঘাঁটির ব্যাপার, সময় দিতেই হবে।'

বাদশাহ একটা আঙুল তুলে দেখিয়ে বললেন, 'দিলাম। এক ঘণ্টা।'
চটপটে ছেলেটি পণ্ডিতকে বললে, 'চলুন আমরাও আপনাকে সাহায্য করব।'
পণ্ডিত বকবক করতে করতে ওদের সবাইকে নিয়ে নিজের ঘরের দিকে গেলেন। ঘরের ভিতর থেকে ধাক্কা দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে বের করে নিয়ে এলেন দশমুনে এক বান্ডিল। তারপর বিড়বিড় করে আঙুল গুনে বললেন, 'ক খ গঘ-ঘ-য়ে ঘুড়ি। সব্বোনাশ করেছে! এ যে ব্যানজোন বনের চার নম্বার। গোটা তাড়াটাই খুলতে হবে। ঘুড়ি শব্দ্যে পাওয়া যাবে এক্কেবারে সেই গোড়ার দিকে।'

ছেলেরা সবাই বললে, 'আপনি বুড়ো মানুষ, টানা-হ্যাঁচড়া আপনার শরীরে কুলোবে না। আপনি সামনের দিকটা ধরে থাকুন আমরা সবাই মিলে বান্ডিলটা পিছনের দিকে গড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছি, তা হলেই চট করে খোলা হয়ে যাবে।'

ছেলেরা সবাই একযোগে বান্ডিলটা ঠেলতে ঠেলতে গড়িয়ে পিছনের দিকে নিয়ে চলল। পণ্ডিত ধরে বসে রইলেন সামনের দিকটা।

তারপর হলো কি, বান্ডিলটা ঠেলতে ঠেলতে ছেলেরা একসময়ে হাঁপিয়ে পড়ল, কেননা সেটা ছিল বিরাট। ওজনেও দশ মণের সমান। তাই না পেরে একসময় সবাই ছেড়ে দিল। এক পলকে সড়সড় করে সেটা আগের মতো আবার জড়িয়ে গিয়ে এক ধাক্কায় পণ্ডিতকে ছুড়ে দিলে সামনের সমুদ্রে।

ছেলেরা সবাই তক্ষুনি বাদশাহর কাছে ছুটে গিয়ে নালিশ জানাল। বললে, ‘বাদশাহ নামদার, দেখুন পণ্ডিতের কী কাণ্ড! আমাদের বললে তোদের নিয়েই যত অনর্থ, তোরাই অভিধান ঘেঁটে বের কর ঘুড়ি মানে কী, আমি ততক্ষণে একটু সাঁতরে আসি। তারপর তিনি সেই যে সাঁতরাতে গিয়েছেন এখন পর্যন্ত ফেরার নামটি নেই।’

বাদশাহ বললেন, 'যত সব বায়নাক্কা। আক্কেল আলী দ্যাকো দিকি কী ব্যাপার!'

উজির সাগর পাড়ে গিয়ে দেখেন পণ্ডিত রীতিমতো হাবুডুবু খাচ্ছেন। তিনি চেঁচিয়ে বললেন, 'এই বুঝি আপনার অভিধান ঘাঁটা?'

পণ্ডিত হাঁপাতে হাঁপাতে কোনোমতে পাড়ে উঠে এসে বললেন, 'বুঝলেন কিনা, বিদ্যা হলো সমুদ্দুর, তাই একটু ঘেঁটে দেখছিলাম আর কি।'

উজির বললেন, ‘তা পেলেন কিছু?’

পণ্ডিত বললেন, 'পেলাম আর কই। বুড়ো মানুষ, আপনাদের মতো দেহও নেই, ক্ষমতায়ও কুলালো না। ঘুড়ি শব্দাটা একেবারে তলদেশে কি-না, ওটা খুঁজে আনা যার-তার কম্মো নয়।'

উজির কী যেন ভাবলেন। তার মনে হলো বাদশার জন্যে তিনি কী না করতে পারেন। বিদ্যাসমুদ্দুরের তলদেশ থেকে ঘুড়ি শব্দের অর্থ খুঁজে আনা তো সহজ কাজ। বরং বাহাদুরি দেখানোর এই এক সুযোগ। বাদশাহ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবেন।

তিনি বললেন, 'কোথায় দেখিয়ে দিন।'
পণ্ডিত বললেন, 'মাঝিদের বলুন, ওরা মাঝখানে গিয়ে ঠিক জায়গামতোই ঝুপ করে নামিয়ে দেবে।'
উজির বললেন, 'ঠিক হ্যাঁয়!'

জেলেনৌকার মাঝিরা তাদের ডিঙিতে করে সমুদ্দুরের একেবারে মাঝখানে গিয়ে চ্যাংদোলা করে উজির আক্কেল আলীকে ঝুপ করে ছেড়ে দিল। উজির আক্কেল আলী সেই যে সমুদ্দুরের তলদেশে ঘুড়ির অর্থ আনতে গেলেন আর ফিরলেন না।

ছেলেরা দল বেঁধে শাহিমহলের ময়দানে ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে সুর ধরল-

উজির গেলেন রসাতলে

বাদশাগেলেন ঘরে

নিজের পায়ে কুড়ুল মেরে

মাথা ঠুকে মরে।

ঢ্যাম কুড়কুড়, ঢ্যাম কুড়কুড়

তা ধিন ধিনতা ধিন

পদ্য লেখার জোরেই কেবল

এল সুখের দিন।

common.content_added_by

লেখক-পরিচিতি

36
36

মাহমুদুল হকের জন্ম ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বারাসাতে। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় চলে আসেন। তিনি যখন সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তখন 'রেড হার্নেড' নামে একটি রহস্য-উপন্যাস লিখে সাহিত্যে প্রবেশ করেন। পরবর্তীকালে ছোটোগল্প ও উপন্যাসে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তাঁর লেখালেখির বিষয় দেশভাগ ও মুক্তিযুদ্ধ। 'অনুর পাঠশালা', 'জীবন আমার বোন', 'কালো বরফ' প্রভৃতি তাঁর উপন্যাস। 'চিকুর কাবুক' তাঁর কিশোর-রচনা। সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য মাহমুদুল হক বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।

common.content_added_by

পাঠ-পরিচিতি ও মূলভাব

48
48

শমশের আলীজান নামে এক বাদশাহ ছিলেন। দেশের আরও লোকের সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ায় নিজের নামটিকে তিন গুণ করে দিলেন তিনি। এতে বেজায় খুশি তার মোসাহেব উজির আক্কেল আলী। এরই মধ্যে বাদশাহ ও উজিরকে নিয়ে কারা যেন বিদ্রূপময় ভাষায় পদ্য লেখা শুরু করে। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হন বাদশাহ ও উজির। এরপর দেখা গেল, ঘুড়িতেও কারা যেন পদ্য লিখে রেখেছে। রাজা ঘুড়ি তৈরি ও ওড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। ছেলেরা তখন কলাপাতা গোল গোল করে কেটে বাতাসে ওড়ানো শুরু করল। তাতেও বাদশাহ আপত্তি করায় চটপটে এক ছেলে প্রতিবাদ করে বলল, এটা তো ঘুড়ি নয়- কলাপাতা মাত্র। বাদশাহ বললেন, যা ওড়ে তা-ই ঘুড়ি। এবার ছেলেটি পালটা প্রশ্ন করে, তাহলে পাখি, ধুলো, উড়োজাহাজ- এসবও ঘুড়ি, কিন্তু সেসব উড়তে নিষেধ করছেন না কেন? বাদশাহ পড়ে গেলেন মুশকিলে। তাই 'ঘুড়ি' বলতে আসলে কী বুঝায়, তা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হলো পণ্ডিতকে। ছেলেদের কৌশলে পণ্ডিত পড়ল গিয়ে সমুদ্রে। আর বাদশাহকে খুশি করার জন্য সকল কাজের কাজি আক্কেল আলীও ঘুড়ির অর্থ খুঁজতে 'বিদ্যাসমুদ্দুরে' ঝাঁপ দিল- সেই যে ডুবল আর ভাসল না। ছেলেরা আবার আকাশে ঘুড়ি ওড়াবার সুযোগ পেল। সেটা সম্ভব হলো পদ্য লেখার জোরেই।

হাস্যরসের মাধ্যমে এই গল্পে দুষ্টলোকের স্বাভাবিক পতন এবং সাধারণ মানুষের অধিকার ও জয় তুলে ধরা হয়েছে।

common.content_added_by

শব্দার্থ ও টীকা

39
39

সান্ত্রি - প্রহরী, রক্ষী। যে পাহারা দেয়।
উজির - মন্ত্রী।
নাজির - আদালতের কর্মচারী।
পাত্র-মিত্র - রাজসভার উজির বা মন্ত্রী।
সভাসদ - রাজ-দরবারের লোক।
সভায় - যোগদানকারী ব্যক্তি।
দরবার - সভা।
প্রাসাদ - রাজভবন।
প্রাচীর - দেয়াল।
হিজিবিজি - আঁকাবাঁকা রেখাযুক্ত অস্পষ্ট লেখা।
চাঁদি - মাথার উপরিভাগ।
গাঁট্টা - মুঠি করা আঙুলের জোরালো আঘাত। -
শূল - ধারালো সরু মুখযুক্ত কাঠ বা লোহা বিশেষ।
আর্জি - নিবেদন।
এন্তার - যাবতীয়, সকল।
গাম্ভীর্য - গম্ভীর ভাব। চাঞ্চল্য না-দেখানো।
পেল্লায় - বড়ো আকারের কোনো কিছু।
ফ্যাচোর ফ্যাচোর - বিরক্তিকর অদরকারি বাক্যপ্রয়োগ।
দশমুনে - দশমণ-বিশিষ্ট।
বান্ডিল - আঁটি। ইংরেজি Bundle।
টানা হ্যাঁচড়া - টানাটানি করা।
অভিধান -এক ধরনের বই। অর্থসহ শব্দকোষ।
বিদ্যাসমুদ্দুর - জ্ঞানের সাগর।
বাহাদুরি - কৃতিত্ব বা সাফল্যে গৌরব করা।

common.content_added_by
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion