সারাংশ লেখ :
অভাব আছে বলিয়া জগৎ বৈচিত্র্যময় হইয়াছে। অভাব না থাকিলে জীব-সৃষ্টি বৃথা হইত। অভাব আছে বলিয়া অভাব-পূরণে এত উদ্যম, এত উদ্যোগ। সংসার অভাবক্ষেত্র বলিয়া কর্মক্ষেত্র। অভাব না থাকিলে সকলেই স্থাণু-স্থবির হইত, মনুষ্যজীবন বিড়ম্বনাময় হইত। মহাজ্ঞানীগণ অপরের অভাব দূর করিতে সর্বদা ব্যস্ত। জগতে অভাব আছে বলিয়াই মানুষ সেবা করিবার সুযোগ পাইয়াছে। সেবা মানবজীবনের পরম ধর্ম। সুতরাং অভাব হইতেই সেবাধর্মের সৃষ্টি হইয়াছে। আর এ সেবাধর্মের দ্বারাই মানুষের মনুষ্যত্বসুলভ গুণ সার্থকতা লাভ করিয়াছে।
অভাবই পৃথিবীকে বৈচিত্র্যময় করেছে। অভাব না থাকলে জীবনের সৃষ্টির উদ্দেশ্য হারিয়ে যেত। অভাবের কারণে মানুষ উদ্যম ও উদ্যোগে কাজ করে এবং সংসার অভাবক্ষেত্র হিসেবে কর্মক্ষেত্রে পরিণত হয়। অভাব না থাকলে সবাই স্থির ও স্থবির হয়ে পড়ত এবং মানবজীবন কঠিন হয়ে উঠত। মহাজ্ঞানীগণ অপরের অভাব দূর করতে সর্বদা ব্যস্ত থাকেন, এবং এই অভাবই মানুষকে সেবা করার সুযোগ দেয়। সেবা মানবজীবনের এক মহান ধর্ম, যা অভাবের মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে। এই সেবাধর্মের মাধ্যমেই মানুষের মনুষ্যত্বপূর্ণ গুণগুলোর সার্থকতা প্রাপ্ত হয়।