সহজ-সরল মানুষকে ঠকানোই হচ্ছে ছুরুক মিয়ার কাজ। সে অত্যন্ত ধূর্ত ও চালাক প্রকৃতির লোক। সে কৌশলে মানুষকে মুরিদ করে এবং ঘর্মীয় কথা বলে তাদের কাছ থেকে লচুর আর্থিক ফায়দা হাসিল করে নেয়। মুরিদদের বিশ্বাস পীর তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকলে আল্লাহও তাদের প্রতি সন্তুষ্ট থাকবেন। মূলত সমাজের কুসংস্কার ও ধর্মভীরুতার কারণেই ফুরুক মিয়া এহেন জঘন্য কাজে লিও।
দেউল গ্রামের সজিব দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে চা শ্রমিক কদর আলীর কিশোরী মেয়ে জমিলাকে বিয়ে করতে চায়। মেয়ের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কদর আলী এ বিয়েতে রাজি হয়। জমিলা পিতৃ বয়সী সজিবকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানায়। সে কাউকে কোনো কিছু না বলে রাতের আঁধারে বাড়ি থেকে শহরে পালিয়ে যায়। পথিমধ্যে রোকনের সঙ্গে দেখা হয়। রোকন তার বিবরণ শুনে তাকে পোশাক কারখানায় চাকরি দেয়।