শমশের আলীজান নামে এক বাদশাহ ছিলেন। দেশের আরও লোকের সঙ্গে নাম মিলে যাওয়ায় নিজের নামটিকে তিন গুণ করে দিলেন তিনি। এতে বেজায় খুশি তার মোসাহেব উজির আক্কেল আলী। এরই মধ্যে বাদশাহ ও উজিরকে নিয়ে কারা যেন বিদ্রূপময় ভাষায় পদ্য লেখা শুরু করে। এতে বেশ ক্ষুব্ধ হন বাদশাহ ও উজির। এরপর দেখা গেল, ঘুড়িতেও কারা যেন পদ্য লিখে রেখেছে। রাজা ঘুড়ি তৈরি ও ওড়ানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন। ছেলেরা তখন কলাপাতা গোল গোল করে কেটে বাতাসে ওড়ানো শুরু করল। তাতেও বাদশাহ আপত্তি করায় চটপটে এক ছেলে প্রতিবাদ করে বলল, এটা তো ঘুড়ি নয়- কলাপাতা মাত্র। বাদশাহ বললেন, যা ওড়ে তা-ই ঘুড়ি। এবার ছেলেটি পালটা প্রশ্ন করে, তাহলে পাখি, ধুলো, উড়োজাহাজ- এসবও ঘুড়ি, কিন্তু সেসব উড়তে নিষেধ করছেন না কেন? বাদশাহ পড়ে গেলেন মুশকিলে। তাই 'ঘুড়ি' বলতে আসলে কী বুঝায়, তা অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হলো পণ্ডিতকে। ছেলেদের কৌশলে পণ্ডিত পড়ল গিয়ে সমুদ্রে। আর বাদশাহকে খুশি করার জন্য সকল কাজের কাজি আক্কেল আলীও ঘুড়ির অর্থ খুঁজতে 'বিদ্যাসমুদ্দুরে' ঝাঁপ দিল- সেই যে ডুবল আর ভাসল না। ছেলেরা আবার আকাশে ঘুড়ি ওড়াবার সুযোগ পেল। সেটা সম্ভব হলো পদ্য লেখার জোরেই।
হাস্যরসের মাধ্যমে এই গল্পে দুষ্টলোকের স্বাভাবিক পতন এবং সাধারণ মানুষের অধিকার ও জয় তুলে ধরা হয়েছে।
common.read_more